রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪, যা ভূমিধ্বস ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এর পরপরই অঞ্চলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার (২০ জুলাই) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের উপকূলে মাত্র ৩২ মিনিটের ব্যবধানে পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (টঝএঝ) জানিয়েছে, ওই তিনটি ভূমিকম্পের মধ্যে একটি ছিল ৭.৪ মাত্রার, আর বাকি দুটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬.৭।
এর আগে একই এলাকায় আরও একটি ৫.০ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছিল। ফলে সুনামির আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় এবং উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
জার্মান ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিএফজেডও নিশ্চিত করেছে যে কামচাটকার পূর্বাঞ্চলে অন্তত একটি ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প রোববার রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহরের উপকূলবর্তী এলাকায়। এটি কামচাটকা অঞ্চলের একটি প্রধান বন্দর ও প্রশাসনিক কেন্দ্র, যেখানে এক লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প যদি সমুদ্রের নিচে প্লেট সরণের মাধ্যমে ঘটে, তাহলে সুনামির ঝুঁকি তৈরি হয়। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো বড় সুনামির খবর পাওয়া যায়নি, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলীয় জনগণকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা স্থানীয় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্র চালুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থিত অঞ্চলগুলোতে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এর আগে আলাস্কা ও জাপানেও একাধিক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল উপকূলীয় এলাকা। গবেষকরা এসব ভূকম্পনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুঁজে দেখছেন।
রাশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :