binodonerpadmaful
ঢাকা রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার


বিনোদনের পদ্মফুল | জীবনযাপন ডেস্ক জুলাই ১৯, ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকার প্রতি বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন। ভুল খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। তবে এর মানে এই নয় যে, ডায়াবেটিক রোগীরা স্ন্যাকস খেতে পারবেন না।
সঠিক কিছু স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর নাশতা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ওজন বাড়তে দেয় না এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
সিদ্ধ ডিম
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সিদ্ধ ডিম অত্যন্ত উপকারী। ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, যা পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন বি, বি-১২ ও ডি থাকে, যা শক্তি জোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চিয়া সিড
চিয়া সিড ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি হজম প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। চিয়া সিড দুধ বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে, ফল বা বাদামের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার
আখরোট, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়োর বীজ ইত্যাদি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এগুলোতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা শরীরে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
ছোলা ও সবজি
সিদ্ধ ছোলা প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি গাজর, শশা, ক্যাপসিকামের মতো কম ক্যালরিযুক্ত সবজি স্ন্যাকসে রাখা যেতে পারে। এগুলো স্বাস্থ্যকর, সহজপাচ্য ও পেটও ভরিয়ে রাখে।
ফ্রুট চাট
ফল দিয়ে বানানো ফ্রুট চাট ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য একটি চমৎকার স্ন্যাকস। আপেল, কমলা, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে থাকে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের শক্তি জোগায় এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সামান্য লেবুর রস ও চাট মশলা মিশিয়ে খেলে স্বাদ আরও বাড়ে।
যদি আপনি ডায়াবেটিস ছাড়াও অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন (যেমন: কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ), তাহলে এসব খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

Side banner