binodonerpadmaful
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সান্তাহার জংশনে মারামরি


বিনোদনের পদ্মফুল | মিরু হাসান বাপ্পী মে ৩, ২০২৪, ১২:১২ পিএম সান্তাহার জংশনে মারামরি

বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে ট্রেনের দুই পরিচালক সহ (গার্ড) মোট পাঁচজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে সোয়া পাঁচটার দিকে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে। সেনাবাহনীর সদস্যরা ট্রেনের পরিচালকের কামড়া ও পাশের ইঞ্জিন রুমে ভাংচুর করেছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছে।
সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় রেলওয়ে কর্মচারীরা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে কাঠ ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পুরো স্টেশন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত ট্রেন পরিচালকের বরাত দিয়ে সান্তাহার স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে প্রবেশ করে। ট্রেন থামার পর যাত্রীরা ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় ট্রেনের ভেতর থেকে আব্দুল মালেক নামে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। সে সময় ট্রেনের ভিতর ব্যাপক হৈ চৈ ও চিৎকার শোনা যায়। আহত পরিচার্যক আব্দুল মালেক জানান, সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ওই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। এ সকল সদস্যদের অনেকের কাছে টিকিট ছিল না।
ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আব্দুস সাত্তার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিকট টিকিট চাইলে তাঁরা পরিচালকের সাথে তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে সেনাবাহনীর কয়েকজন সদস্য পরিচালক আব্দুল রাকিব ও আব্দুস সাত্তারকেও ব্যাপক মারপিট করে আহত করে। এ সময় তারা ট্রেন পরিচালকের কামড়া ও পাশের ইঞ্জিন রুমে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ট্রেন পরিচালকের কামড়ার মেঝেতে অনেক রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং সেখানে মুঠোফোন ও কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের হামলায় দুই ট্রেন পরিচালক ও পরিচার্যকরা ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এ সময় ছবি তুলতে গেলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রেল পুলিশ ও সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করে। সেনাবাহিনীর এ সকল সদস্যদের কারও গায়ে কোন পোশাক ছিল না। তাঁরা কোন ক্যান্টনমেন্টের সদস্য তা তাৎক্ষনিক জানা যায়নি। পরে পুলিশ দুই ট্রেন পরিচালককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁরা কান্না করতে থাকেন। এ প্রতিবেদন পাঠানোর সময় পর্যন্ত পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে আটকা ছিল।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Side banner