binodonerpadmaful
ঢাকা শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভ্রমণকালে ফুড পয়জনিং, নিস্তার পাবেন যেভাবে


বিনোদনের পদ্মফুল | ভ্রমণ ডেস্ক মে ২৩, ২০২৫, ০২:১৯ পিএম ভ্রমণকালে ফুড পয়জনিং, নিস্তার পাবেন যেভাবে

তীব্র গরমে ভ্রমণকালে ফুড পয়জনিংয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এ সমস্যা যে কারোরই হতে পারে। তবে এ সমস্যা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। রাস্তার ফুচকা, স্ট্রিট ফুড কিংবা বিদেশের কোনো রেস্তোরাঁ যেখানেই কিছু খান না কেন, অসাবধানতার কারণে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সমস্যা যখন আছে, সমাধানও নিশ্চয় আছে। বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে নিজেকে ফুড পয়জনিংয়ের হাত থেকে নিস্তার দিতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১.বেশি বেশি পানি
ভ্রমণকালে ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হলে বেশি বেশি পানি খেয়ে শরীরকে আর্দ্র রাখুন। শরীরের ইলেকট্রোলাইটের চাহিদা পূরণ করুন। পানি খেতে গিয়ে যদি বমি আসে, তবে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পানি খেতে পারেন।
২.নরম খাবার
ফুড পয়জনিং হলে নরম খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খেতে যাবেন না। সম্ভব হলে কাঁচকলা ভর্তা দিয়ে ভাত খান। পারলে ‘ব্রাট ডায়েট’ অনুসরণ করে দেখতে পারেন। ব্রাট ডায়েট হলো কলা, ভাত, আপেলের সস ও টোস্ট—এই চার ধরনের খাবার নিয়ে করা একধরনের ডায়েট। ডায়রিয়া হলে সাধারণত এ ধরনের ডায়েট করা হয়। নরম খাবারের সঙ্গে সঙ্গে লবনযুক্ত বিস্কুট (সল্টেজ বিস্কুট) খেতে পারেন। তবে, যাই খান, তা হতে হবে পরিমিত।
৩. প্রাকৃতিক প্রতিকার
খাদ্যের বিষক্রিয়ার সময় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করাই মূল লক্ষ্য। তাই এ সময় আদা চা, দই বা প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল খাওয়া উপকারি। কারণ এগুলো শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
৪.পর্যাপ্ত বিশ্রাম
কম খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হাঁটাচলা করবেন না। ফুড পয়জনিং হলে দিনের বেশ ভালো একটা সময় টয়লেটেই কেটে যায়। তাই টয়লেটের বাইরে থাকার সময়টা যতটা পারা যায় বিছানায় থেকে বিশ্রাম নিতে চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে ড. ফিশারের পরামর্শ, যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। আর শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে কি না, খেয়াল রাখুন।
৫.যা খাবেন না
কিছু কিছু খাবার ফুড পয়জনিং কে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তাই অ্যালকোহল, ক্যাফেইন বা সোডা জাতীয় পানীয় যেমন এনার্জি ড্রিংকস, কফির মতো পানীয়গুলি এড়িয়ে চলা উচিত। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন অ্যাভোকাডো, ব্রকলি, মটরশুটি, পুরো শস্য, বাদামী চাল ইত্যাদি। এছাড়াও অতিরিক্ত ঝাল বা অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার ফুড পয়জনিং এর সময় পেটে জ্বালা অনুভব তৈরি করে। তাই এসব খাবার না খাওয়াই ভালো। এসময় পনির এবং আইসক্রিমের মতো দুগ্ধজাত খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত। 
৬.লক্ষণ পর্যবেক্ষণ
সংক্রমণের উৎসের ওপর ভিত্তি করে ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ হতে পারে নানা রকম। ফুড পয়জনিং হলে সাধারণত তলপেটের মাংসপেশিতে ব্যথা করে। বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ডায়রিয়া, দুর্বলতা, জ্বর ও ক্ষুধামান্দ্য—এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষণের কথা জানান ড. ফিশার। অস্থিসন্ধির ব্যথা কিছু কিছু খাদ্যবাহিত সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। তাই আপনার শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর মাত্রা কী রকম, সেদিকে ভালো করে খেয়াল রাখুন।
৭.অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসা নিন
অতিরিক্ত অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে হোটেলের ফ্রন্টডেস্কের সাহায্য নিতে পারেন। কেননা অচেনা জায়গায় হাসপাতাল খুঁজে পেতে হতে পারে কষ্ট। তাতে অযথা সময়ও নষ্ট হবে।
৮.আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা
ভ্রমণের আগেই ফুড পয়জনিংয়ের জন্য প্রস্তুতিমূলক চিকিৎসা নিয়ে রাখতে পারেন। তাই মেডিকেল কিট যেমন ওআরএস পাউডার, প্যারাসিটামল, অ্যান্টিসেপটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ওয়াটার পিউরিফিকেশন ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন।

Side banner