নরসিংদীতে ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মেহেদী হাসান ইমন নামে টেক্সটাইল মিলের এক মালিককে পিটিয়ে ও প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারী শ্রমিকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার টাওয়াদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমন নরসিংদী শহরতলীর টাওয়াদী এলাকার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়ার ছেলে এবং নাবিলা টেক্সটাইলের মালিক।
অন্যান্য আহতরা হলেন-কারখানার মালিক মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমনের বাবা আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রমিক সুজন মিয়া, রমজান আলী ও আছিয়া বেগম।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, টাওয়াদী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সন্ত্রাসী দোবাই ও সালামের ছেলে সন্ত্রাসী সাগর দীর্ঘদিন ধরে নাবিলা টেক্সটাইলের মালিক মেহেদী হাসান ইমনের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এরই জেরে ঘটনার দিন সকালে দোবাই এর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল টেক্সটাইল মিলে প্রবেশ করে কর্মরত শ্রমিকদের মারপিট করে বের করে দেয় এবং টেক্সটাইল মেশিনে লাগানো বিভিন্ন কাপড় ও সুতা কেটে কুচি কুচি করে ফেলে। এ সময় শ্রমিকরা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে করলে তারা নারী শ্রমিক ও মালিকের বাবাসহ ৪ জনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহেদী হাসান ইমন এসে তাদের বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালায় এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এতে মেহেদী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসতে থাকলে সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় হত্যাসহ লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে নাবিলা টেক্সটাইলের মালিক মেহেদী হাসান ইমন বলেন, আমার কারখানা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিকরা ভয়ে কারখানায় আসছে না। তারা আমার কারখানার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। আমাকে একা পাইলেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় আছি। আমরা ব্যবসা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে হামলার দৃশ্য সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। ভিডিওতে দুইজন যুবককে মালিক ইমনকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করতে দেখা যায় এবং তিনজন যুবক টেক্সটাইল মিলের ভেতরে দেশীয় অস্ত্র উচিয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করতে শোনা গেছে।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগও পেয়েছি। বিষটি তদন্ত করে পরর্বতী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :