ইথিওপিয়ায় বাড়ছে কফি উৎপাদন কমছে কলম্বিয়ায়

অনুকূল আবহাওয়া, উন্নত বীজ, আধুনিক উপকরণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পার্থক্যের কারণে বৈশ্বিক কফি উৎপাদনে দেশভেদে দেখা যাচ্ছে বিপরীতমুখী প্রবণতা।
অনুকূল আবহাওয়া, উন্নত বীজ, আধুনিক উপকরণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পার্থক্যের কারণে বৈশ্বিক কফি উৎপাদনে দেশভেদে দেখা যাচ্ছে বিপরীতমুখী প্রবণতা। মার্কিন কৃষি বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ পণ্যবর্ষে ইথিওপিয়ায় কফি উৎপাদন বাড়বে। অন্যদিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কফি উৎপাদক কলম্বিয়ায় উৎপাদনে ধস নামতে পারে। খবর ইউকেআর এগ্রো কনসাল্ট।
মার্কিন কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর ইথিওপিয়ায় কফি উৎপাদন বেড়ে ১ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ব্যাগে দাঁড়াতে পারে। অনুকূল আবহাওয়া, পুরনো গাছ থেকে পুনরুৎপাদন, উন্নত মানের চারা ও উচ্চ উৎপাদনশীল উপকরণ ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধির এ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দামের পাশাপাশি ইথিওপিয়ার অর্থনৈতিক সংস্কার, বিশেষ করে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার গ্রহণের ফলে রফতানিকারকদের জন্য সুবিধা বেড়েছে। সব মিলিয়ে চলতি পণ্যবর্ষে কফি রফতানি ৭ কোটি ৮ লাখ ব্যাগে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদ্দিস আবাবায় মার্কিন কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি পরিষেবার (এফএনসি) রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ পরিবর্তনের ফলে ইথিওপিয়ার কফি এখন বিদেশী বাজারে আরো প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের আয়।
অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম ওয়াশড অ্যারাবিকা সরবরাহকারী কলম্বিয়ায় মে মাসে কফি উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ কমে গেছে। এতে দেশটিতে উৎপাদন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ লাখ ১৯ হাজার ব্যাগে (প্রতি ব্যাগ ৬০ কেজি)। কলম্বিয়ার জাতীয় কফি চাষী ফেডারেশনের (এফএনসি) বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, উৎপাদনের পতনের নির্দিষ্ট কারণ স্পষ্ট না হলেও সাম্প্রতিক অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০২৪ সালে কলম্বিয়ায় মোট কফি উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যাগের নিচে। রফতানি হয়েছে আনুমানিক ১ কোটি ২৩ লাখ ব্যাগ। শুধু মে মাসেই রফতানি হয়েছে ৯ লাখ ১০ হাজার ব্যাগ, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ব্যাগ।